ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
পাইকগাছায় আদালত অমান্য করে অন্যের বসত বাড়ি ভাঙচুর ও লুট-পাটের অভিযোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় ভুয়া, অস্তিত্বহীন ও আদালত কর্তৃক বাতিল ঘোষণাকৃত খাস বন্দোবস্ত দলিল নিয়ে বসত বাড়ি ভাঙচুর, ঘেরের মাছ লুট-পাট করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগী। অভিযোগটি আমলে নিয়ে কানুনগোকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী কমিশনার। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার গজালিয়া গ্রামের জামসেদ আলী মোল্লার নামে ভূমিহীন কৃষক হিসেবে সরকার নিকট থেকে ১০৬৭/৯২-৯৩ বন্দোবস্ত কেসে সরকারি খাস জমি প্রাপ্ত হন। খাস জমি প্রাপ্ত হয়ে সেখানে তিনি মৎস্য চাষ সহ বসত বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু জামসেদ মোল্লার ছেলে ইউনুস মোল্লা সহকারী কমিশনার বরাবর অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, একই এলাকার ওয়াজেদ আলী মোড়লের ছেলে নওশাদ মোড়ল ৮৫১/৭৯-৮০ এবং তার ভাই মজিদ মোড়ল ৭২৪/৭৯-৮০ নং বন্দোবস্ত কেস প্রাপ্ত হন। উক্ত কেসগুলি ভুয়া, তঞ্চকী, অস্তিত্বহীন মর্মে ভূমি আপিল বোর্ড কর্তৃক বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। যা পাইকগাছা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের ৫৭৬(১) নং স্মারকে ০১/০৬/২০১৭ তারিখে লস্কর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কেসগুলি বাতিল করে আদালতে অবগত করেছেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আসমত মোল্লা, শরিফুল গাজী, তরিকুল ইসলাম, ধরু গাজী, হায়দার বিশ্বাস সহ অনেকের খাস জমিগুলি ভূমি আপিল বোর্ড কর্তৃক বাতিল ঘোষণা করা হলেও উক্ত ব্যক্তিরা গত ১৫ ফেব্রæয়ারি রাতে জামসেদ মোল্লার বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি ও ডিডকৃত কিছু রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে প্রবেশপূর্বক তার বসত বাড়ি ভাঙচুর, মৎস্য লিজ ঘেরে লুট পাট করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে মর্মে সামসেদ পুত্র ইউনুস মোল্লা অভিযোগে উল্লেখ সহ এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য কানুনগো বরাবর প্রেরণ করেছেন। 8,580,735 total views, 8,505 views today |
|
|
|